বাংলাদেশের সংবিধান দেশের সর্বোচ্চ আইন এবং এটি একটি লিখিত দলিল, যা বাংলাদেশের রাষ্ট্র পরিচালনার মৌলিক কাঠামো ও নীতিমালা নির্ধারণ করে। এটি ১৯৭২ সালের ১৬ ডিসেম্বর কার্যকর হয়।
সংবিধানের মূল বৈশিষ্ট্য
বাংলাদেশ সংবিধান মোট চারটি মূল নীতি নিয়ে গঠিত:
1. গণতন্ত্র: জনগণের ক্ষমতা ও মতামতের ভিত্তিতে রাষ্ট্র পরিচালিত হবে।
2. জাতীয়তাবাদ: বাংলাদেশের জনগণের ঐক্য ও স্বতন্ত্র জাতিসত্তার গুরুত্ব।
3. সমাজতন্ত্র:অর্থনৈতিক ও সামাজিক সাম্য প্রতিষ্ঠা।
4. ধর্মনিরপেক্ষতা: সকল ধর্মের প্রতি সমান সম্মান ও সহাবস্থান নিশ্চিতকরণ।
সংবিধানের অংশ ও ধারা
বাংলাদেশের সংবিধান ১১টি অংশ ও ১৫৩টি অনুচ্ছেদে বিভক্ত। এতে রাষ্ট্র পরিচালনার কাঠামো, মৌলিক অধিকার, রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর ক্ষমতা, সংসদীয় কার্যক্রম, বিচার বিভাগের স্বাধীনতা এবং জরুরি অবস্থার বিধান অন্তর্ভুক্ত।
মৌলিক অধিকার
বাংলাদেশের সংবিধান জনগণকে কিছু মৌলিক অধিকার প্রদান করে, যেমন:
- সমতা: সকল নাগরিকের সমান অধিকার।
- স্বাধীনতা: বাক, মতপ্রকাশ, ধর্ম পালনের অধিকার।
- আইনি সুরক্ষা: আইনের অধীনে ন্যায়বিচারের নিশ্চয়তা।
সংবিধানের সংশোধনী
সংবিধান প্রণয়নের পর থেকে বিভিন্ন সময়ে ১৭টি সংশোধনী আনা হয়েছে। এর মধ্যে গুরুত্বপূর্ণ কয়েকটি:
- প্রথম সংশোধনী (১৯৭৩): আন্তর্জাতিক অপরাধ বিচারের বিধান।
- পঞ্চম সংশোধনী (১৯৭৯): সামরিক শাসনের বৈধতা প্রদান।
- পঞ্চদশ সংশোধনী (২০১১): তত্ত্বাবধায়ক সরকারের বিধান বাতিল এবং ধর্মনিরপেক্ষতার পুনঃস্থাপন।
সংবিধানের গুরুত্ব
বাংলাদেশ সংবিধান দেশের ঐক্য, সার্বভৌমত্ব এবং মানবাধিকার রক্ষার মূল ভিত্তি। এটি দেশের রাজনৈতিক ও সামাজিক স্থিতিশীলতা বজায় রাখতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।
সংবিধান সম্পর্কে আরও জানার জন্য, আপনি সম্পূর্ণ দলিলটি পড়তে পারেন বা বিশেষজ্ঞদের মতামত অনুসরণ করতে পারেন।
{getProduct} $button={Download Now} $price={Free} $free={yes} $icon={download}