সাইমুম সিরিজ শ্রদ্ধেয় ‘আবুল আসাদ’ কর্তৃক লিখিত বাংলাদেশের অন্যতম জনপ্রিয় সিরিজ। অন্য সিরিজের মত এটা শুধু থ্রিলার সিরিজ নয়। একজন পাঠক ইতিহাস, ভুগোল, বিভিন্ন দেশের সংস্কৃতি বিশেষ করে ইসলামী ইতিহাস ও সংস্কৃতি, ইসলামী বিশ্ব, বিভিন্ন দেশে মুসলিমদের বর্তমান অবস্থা সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে পারে এই সিরিজ পড়ে। পাঠককে রোমাঞ্চিত করার পাশাপাশি বিভিন্ন ধরনের তথ্য ও শিক্ষামূলক জ্ঞানের মাধ্যমে পাঠকের মনের মধ্যে নৈতিক চিন্তাধারার বিকাশ ঘটানো এবং তার মাঝে ক্রমে ক্রমে মনুষ্যত্ব এবং শান্তি প্রতিষ্ঠার জন্য কাজ করার ভাবনাকে সুসংহত করার লক্ষ্য নিয়ে লেখা এই সিরিজটি। এই সিরিজ একজন পাঠকের হৃদয়ে ঈমানের আলো প্রজ্জ্বলিত করে। শ্রদ্ধেয় আবুল আসাদ ১৯৭৬ সালে ‘অপারেশন তেলআবিব-১’ এর মাধ্যমে এই সিরিজের সূচনা করেন।
আমাদের মুসলিম উম্মাহর নতুন প্রজন্ম ইসলাম বিদ্বেষীদের বিভিন্ন ধরণের অসুস্থ সংস্কৃতি তথা অশ্লীল নোভেল নাটক ও সিনেমার জালে আটকা পড়ে যাচ্ছে। তারা ইসলাম বিদ্বেষীদের হাজারো পাতা ফাদে আটকে পড়ে নিজেদের মুসলিম স্বকীয়তা ভুলতে শুরু করেছে। অসুস্থধারার সিনেমা ও উপন্যাস যখন নতুন প্রজন্ম বিশেষ করে যুব সমাজকে ধ্বংসের অতল গহ্বরের দিকে ধাবিত করছিল ঠিক সেই নাজুক মুহুর্তে যুব সমাজের কাছে নিজেদের স্বকীয়তাকে ধরে রাখার উপর গুরুত্ব দিয়ে যুগের অকুতোভয় সিপাহসালাররা এগিয়ে এসেছেন সুস্থ ধারার সংস্কৃতি গান, উপন্যাস ও নাটক নিয়ে।
ইসলামিক স্কলাররা বলে থাকেন বর্তমান যুগে মানুষকে সিনেমার বিভিন্ন সিরিয়াল ও অন্যান্য অসুস্থ সংস্কৃতি থেকে মুক্ত রাখতে ঠিক একই ধরণের সুস্থ ধারার সিরিয়াল ও সুস্থ সংস্কৃতি তাদেরকে উপহার দিতে হবে। তবেই, সহজে জাতিকে সেগুলোর মরণ ছোবল থেকে মুক্ত রাখা যাবে। বাংলাভাষী মুসলিম যুব সমাজের জন্য এমনি কিছু অকুতোভয় সিপাহসালার অসুস্থ সংস্কৃতির বিপরীতে সুস্থধারার সংস্কৃতি নিয়ে এগিয়ে এসেছেন বিভিন্ন গান, উপন্যাস ও নাটক ইত্যাদি নিয়ে। তবে, সেগুলো প্রয়োজনের তুলনায় অত্যন্ত অপ্রতুল।
মুসলিম সিপাহসালারগণ বাংলাভাষী যুব সমাজকে যেসব সুস্থধারার উপন্যাস উপহার দিয়েছেন তন্মধ্যে ‘সাইমুম সিরিজ’ তরুন সমাজের কাছে অত্যন্ত জনপ্রিয়তা ও গ্রহণযোগ্যতা পেয়ে ব্যাপকভাবে সমাদৃত হয়েছে। এ সিরিজের লেখক মুহতারাম আবুল আসাদ বলেছেন- সাইমুম সিরিজটা আসলে আমি লিখেছি এমন একটা সময়ে, আসলে যখন আমি পরিকল্পনা করি ইসলামকে রাজনৈতিকভাবে আনতে হবে। তখন মনে করেছি কাজটা কঠিন হবে। এই জন্য আমি মনে একটা কিছু লিখতে চাই যাতে নতুন জেনারেশনের মধ্যে আমরা যে আলাদা জাতি, আমরা মুসলমান, আমাদের যে আলাদা পরিচয় আছে,- এই জিনিসটা যাতে করে তাদের মধ্যে সৃষ্টি হয় সেই বিষয়টাকে সামনে রেখে আমি সাইমুম সিরিজের পরিকল্পনা করি। এবং আমি চেষ্টা করেছি যে, এই সাজেশন সৃষ্টির জন্য যা যা করার দরকার, এই যেমন এর মধ্যে সবকিছুই আছে রোমাঞ্চ আছে, হিস্ট্রি আছে, তারপর এখানে গোয়েন্দা উপন্যাসের সব উপাদানই আছে। কিন্তু এর মূল উদ্দেশ্য হলো সবাইকে একটা দিকনির্দেশনা দেয়া। নিজের আত্মপরিচয়ের দিকে মানুষকে ফিরিয়ে আনা, বিশেষ করে তরুণ-তরুণীদের এখান থেকেই (এই দায়িত্ববোধ থেকেই) আমি আমার বইতে এই উদ্দেশ্য যাতে পূরণ হয় সেভাবেই সিরিজটিকে এগিয়ে নিচ্ছি।
বিস্তারিত সাইমুম সিরিজের ওয়েব সাইটে