লেখক:ড. রাগিব সারজানি , আল-আমিন ফেরদৌস (অনুবাদক)
“শিয়া মতবাদ : ধারণা ও বাস্তবতা" বইটির ফ্ল্যাপ এর লেখাঃ
উসূলবিদ আলেমগণ বলেন, কোনাে বিষয়ে কারও প্রদত্ত সিদ্ধান্ত, সে বিষয়ে তার ভাবনারই অংশ। অর্থাৎ, কোনাে বিষয়ে আমি ঠিক তখনই সঠিক সিদ্ধান্ত নিতে সক্ষম হব, যখন সে বিষয়ে আমার পর্যাপ্ত জানাশােনা থাকবে এবং সেটি আদ্যোপান্ত আমার আয়ত্তে আসবে।
এজন্য শিয়া মতাদর্শ সম্পর্কে না জেনে কিছু বলে ফেলা, শিয়া ও সুন্নীদের নীতি ও প্রকৃতি সম্পর্কে অবগত না হয়ে তুলনামূলক বিশ্লেষণে নেমে পড়া অনর্থক, মূল্যহীন।
সুতরাং, আপনি যদি শিয়াদের প্রকৃত বাস্তবতা, ভালাে-মন্দের অবস্থা এবং মুসলিম উম্মাহর নীতি ও আদর্শ-বহির্ভূত কাজের সাথে তাদের সম্পৃক্ততার বিষয়ে অবগত না হন, তাহলে এ বিষয়ে আপনার কোনাে আলােচনা বা সমালােচনা গ্রহণ কিংবা বর্জনের প্রশ্নই উঠবে না।
শিয়া মতাদর্শের পক্ষে বা বিপক্ষে অবস্থান গ্রহণের পূর্বে আমরা খুব সংক্ষিপ্তভাবে কয়েকটি প্রশ্নের উত্তর জেনে নিতে চেষ্টা করব; সেগুলাে হলাে : শিয়া কারা? কী তাদের ভিত্তিমূল? তাদের আকীদাগত এবং ফিকহ-সংক্রান্ত প্রেক্ষাপটই-বা কী? কী তাদের ইতিহাস, ঐতিহ্য এবং বাস্তবতা? কী তাদের লক্ষ্য, উদ্দেশ্য এবং আকাক্ষা?
উল্লিখিত প্রশ্নগুলাের উত্তর যখন আমাদের জানা থাকবে তখন আমরা সুদৃঢ় ও সুস্পষ্টভাবে আমাদের মতামত ব্যক্ত করতে পারব। এমন কতজনই তাে আছেন, যাদের কাছে সঠিক তথ্য ও বিশুদ্ধ চেতনা পৌঁছামাত্রই তা সাদরে গ্রহণ করে নেন, পূর্ব-সিদ্ধান্ত থেকে সরে আসেন নিঃসংকোচে।br বলে রাখা ভালাে, বক্ষ্যমাণ গ্রন্থে প্রসঙ্গত এমন কিছু বিষয় আলােচনায় উঠে আসবে, যেসব বিষয় এড়িয়ে যাওয়া আমার পক্ষে চাইলেও সম্ভব ছিল না।
যেমন: ‘লেবাননের হিযবুল্লাহ, ইরানের শাসনব্যবস্থা, ইরানআমেরিকা বাদানুবাদ, ইয়েমেনের হুথি সম্প্রদায় ইত্যাদি। সংবাদপত্র খুললেই এসব বিষয়ে নানান খবরাখবর আমাদের চোখে পড়ে; কিন্তু শিয়া মতাদর্শ সম্পর্কে পর্যাপ্ত জ্ঞানের অভাবে বিষয়গুলাে কীভাবে দেখা দরকার, তা হয়তাে বুঝে উঠতে পারি না। তাই এ প্রসঙ্গে রচিত আমার কিছু প্রবন্ধ ছােট্ট এ গ্রন্থে মলাটবন্ধ করতে চেয়েছি; এই কামনায় যে, পাঠক এক নিমিষেই এ বিষয়ে আমার পর্যবেক্ষণ জেনে ফেলতে পারেন।
“শিয়া মতবাদ : ধারণা ও বাস্তবতা" বইটির ফ্ল্যাপ এর লেখাঃ
উসূলবিদ আলেমগণ বলেন, কোনাে বিষয়ে কারও প্রদত্ত সিদ্ধান্ত, সে বিষয়ে তার ভাবনারই অংশ। অর্থাৎ, কোনাে বিষয়ে আমি ঠিক তখনই সঠিক সিদ্ধান্ত নিতে সক্ষম হব, যখন সে বিষয়ে আমার পর্যাপ্ত জানাশােনা থাকবে এবং সেটি আদ্যোপান্ত আমার আয়ত্তে আসবে।
এজন্য শিয়া মতাদর্শ সম্পর্কে না জেনে কিছু বলে ফেলা, শিয়া ও সুন্নীদের নীতি ও প্রকৃতি সম্পর্কে অবগত না হয়ে তুলনামূলক বিশ্লেষণে নেমে পড়া অনর্থক, মূল্যহীন।
সুতরাং, আপনি যদি শিয়াদের প্রকৃত বাস্তবতা, ভালাে-মন্দের অবস্থা এবং মুসলিম উম্মাহর নীতি ও আদর্শ-বহির্ভূত কাজের সাথে তাদের সম্পৃক্ততার বিষয়ে অবগত না হন, তাহলে এ বিষয়ে আপনার কোনাে আলােচনা বা সমালােচনা গ্রহণ কিংবা বর্জনের প্রশ্নই উঠবে না।
শিয়া মতাদর্শের পক্ষে বা বিপক্ষে অবস্থান গ্রহণের পূর্বে আমরা খুব সংক্ষিপ্তভাবে কয়েকটি প্রশ্নের উত্তর জেনে নিতে চেষ্টা করব; সেগুলাে হলাে : শিয়া কারা? কী তাদের ভিত্তিমূল? তাদের আকীদাগত এবং ফিকহ-সংক্রান্ত প্রেক্ষাপটই-বা কী? কী তাদের ইতিহাস, ঐতিহ্য এবং বাস্তবতা? কী তাদের লক্ষ্য, উদ্দেশ্য এবং আকাক্ষা?
উল্লিখিত প্রশ্নগুলাের উত্তর যখন আমাদের জানা থাকবে তখন আমরা সুদৃঢ় ও সুস্পষ্টভাবে আমাদের মতামত ব্যক্ত করতে পারব। এমন কতজনই তাে আছেন, যাদের কাছে সঠিক তথ্য ও বিশুদ্ধ চেতনা পৌঁছামাত্রই তা সাদরে গ্রহণ করে নেন, পূর্ব-সিদ্ধান্ত থেকে সরে আসেন নিঃসংকোচে।br বলে রাখা ভালাে, বক্ষ্যমাণ গ্রন্থে প্রসঙ্গত এমন কিছু বিষয় আলােচনায় উঠে আসবে, যেসব বিষয় এড়িয়ে যাওয়া আমার পক্ষে চাইলেও সম্ভব ছিল না।
যেমন: ‘লেবাননের হিযবুল্লাহ, ইরানের শাসনব্যবস্থা, ইরানআমেরিকা বাদানুবাদ, ইয়েমেনের হুথি সম্প্রদায় ইত্যাদি। সংবাদপত্র খুললেই এসব বিষয়ে নানান খবরাখবর আমাদের চোখে পড়ে; কিন্তু শিয়া মতাদর্শ সম্পর্কে পর্যাপ্ত জ্ঞানের অভাবে বিষয়গুলাে কীভাবে দেখা দরকার, তা হয়তাে বুঝে উঠতে পারি না। তাই এ প্রসঙ্গে রচিত আমার কিছু প্রবন্ধ ছােট্ট এ গ্রন্থে মলাটবন্ধ করতে চেয়েছি; এই কামনায় যে, পাঠক এক নিমিষেই এ বিষয়ে আমার পর্যবেক্ষণ জেনে ফেলতে পারেন।